চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে জাপানে পরমাণু বোমা হামলায় জীবিতদের নিয়ে গড়ে ওঠা পরমাণু অস্ত্রবিরোধী সংগঠন নিহন হিদাঙ্কিও। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বোমার আঘাত থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষদের নিয়ে সোচ্চার তৃণমূল সংগঠনটি স্থানীয়ভাবে ‘হিবাকুশা’ নামেও পরিচিত।
২০২৪ শালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে মনোনীত করেছে নরওয়ের নোবেল পুরস্কার প্রদান কমিটি। সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি না করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আহ্বান জানিয়েছেন ১২ মার্কিন সিনেটর। গত সোমবার এক চিঠিতে এই আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
গত বছর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ইরানি মানবাধিকারকর্মী নারগিস মোহাম্মদিকে আরও ১৫ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। বিভিন্ন অভিযোগে নারগিস মোহাম্মদির এরই মধ্যে ১২ বছর কারাভোগ করেছেন। নতুন এই কারাদণ্ডের কারণে তাঁকে আরও ১৫ মাস বন্দী থাকতে হবে। একই সঙ্গে তার ওপর আরও বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন আদাল
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় নিয়ে দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তাঁদের কেউ কেউ এ রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন বাংলাদেশের একটি আদালত। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় আজ সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। তবে নোবেল জয়ের আগে বা পরে কারাদণ্ড পাওয়া একমাত্র ব্যক্তি ড. মুহাম্মদ ইউনূস নন।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আজকে ইংরেজি বছরের প্রথম দিন। সারা দুনিয়া এটা পালন করে। এটা আনন্দের দিন হিসেবে সবাই উৎসব করে। দোষ না করেও এই দিনে আমরা শাস্তি পেলাম। এই দুঃখটা রয়ে গেল। আনন্দের দিনে এই আঘাতটা পেলাম।’ রায় ঘোষণার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন। আজ সোম
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের মধ্যে আপিলের শর্তে জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার শ্রম আদালত-৩-এর বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ রোববার মামলায় পক্ষে ও বিপক্ষে উভয়ের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করার পর ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা রায়ের তারিখ ধার্য করেন।
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এ শুনানি শুরু হয়। ড. ইউনুসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চারজনের বিরুদ্ধে মামলায় আরও একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে সাক্ষ্য দেন মো. হাদিউজ্জামান নামে একজন।
এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ইরানের জেলবন্দী মানবাধিকারকর্মী নারগিস মোহাম্মদি। নারগিস ইরানে খুবই পরিচিত নাম। সারা বিশ্বেই হালে তিনি বেশি করে প্রচার পেয়েছেন।
ইরান সরকারের হাতে ১৩ বার গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। এর মধ্যে পাঁচবার তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। শাস্তি হিসাবে মোট ৩১ বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে তাঁকে ১৫৪টি দোররাও মারা হয়েছে। এমন নিপীড়নের শিকার যিনি হয়েছেন, তিনি নারগিস মোহাম্মদি। নোবেল ফাউন্ডেশনের কল্যাণে নামটি এর মধ্যেই সুপরিচিত। ইরানের কারাগারে বন্দী এই
নারী অধিকার রক্ষা, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধ লড়াই ও মানবাধিকার রক্ষায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন ইরানের নারগিস মোহাম্মদি। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নরওয়ের নোবেল কমিটি তাঁর নাম ঘোষণা করে। নারগিস মোহাম্মদি বর্তমানে কারাবন্দী।
নোবেল বিজয়ীদের পুরস্কারের অর্থ ১০ লাখ ক্রাউন বাড়ছে। আজ শুক্রবার পুরস্কারদাতা প্রতিষ্ঠান নোবেল ফাউন্ডেশন এ ঘোষণা দিয়েছে। এক বিবৃতিতে ফাউন্ডেশন বলেছে, ২০২৩ সালে নোবেল বিজয়ীরা পুরস্কার হিসেবে মোট ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রাউন বা ৯ লাখ ৮৬ হাজার ডলার পাবেন। বর্তমান বিনিময় হার (১ ডলার সমান ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা)
মারিয়ার রেসা ২০২১ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি তাঁর সংবাদ প্রতিষ্ঠান র্যাপলারের মাধ্যমে ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের কড়া সমালোচনা করতেন। বিশেষ করে দুতের্তে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর নামে বিচারবহির্ভূত হত্যার যে কার্যক্রম শুরু করেছিলেন, মারিয়া রেসা ছিলেন
তিনি প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তাকে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দিলে সেটি যুক্তিযুক্ত ছিল। কিন্তু তিনি পেলেন শান্তিতে নোবেল। তিনি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশের মানুষের খাওয়া-পড়ার ও আয়ের ব্যবস্থা করেছেন।